ব‍্যবসায়ী ও গাড়ির চালককে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ : ধৃত ৩

13th August 2021 11:46 am বর্ধমান
ব‍্যবসায়ী ও গাড়ির চালককে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ : ধৃত ৩


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : টাকা হাতানোর জন্য এক ব্যবসায়ী ও তাঁর গাড়ির চালককে অপহরণ করে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল। অপহৃতরা হলেন শামিম খান (২১) ও বরুণ মুর্মু (২৬)। ব্যবসায়ী শামিমের বাড়ি বীরভূম (Birbhum) জেলার ইলামবাজার থানার ভগবতীবাজারে। আর তাঁর পিকআপ ভ্যানের চালক বরুণের বাড়ি একই থানা এলাকার নোলার গ্রামে। ঘটনার তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ব্যবসার জন্য ফাস্ট ফুড সামগ্রী কিনতে গত ৪ অগস্ট ইলামবাজার থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে শামিম ও বরুণকে অপহরণ করা হয়। এর মধ্যে পরের দিন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর (Jamalpur) থানার নবগ্রাম এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি ধাবার সামনে থেকে একটি পিকআপ ভ্যান উদ্ধার হয়। গাড়ির চালকের হদিস না পেয়ে জামালপুর (Jamalpur) থানার পুলিশ একটি মামলা রুজু করে পিকআপ ভ্যানটি বাজেয়াপ্ত করে। সেই গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরে বীরভূমের (Birbhum) ব্যবসায়ী শামিমের হদিস পায় পুলিশ। এদিকে কয়েক দিন ধরে শামিমের কোনও খোঁজ না পেয়ে ৮ অগস্ট জামালপুর (Jamalpur) থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকজন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে জামালপুর থানার পুলিশ হুগলির ডানকুনি (Dankuni) থানার সাহায্য নিয়ে বুধবার রাতে তিন জনকে আটক করে। বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আকতার আলি মল্লিক, শেখ শামিম ওরফে বাবু ওরফে গোলতাবলে ও করিম শেখ ওরফে কালো। ধৃত তিন জনই ডানকুনি থানার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে ডানকুনি (Dankuni) থানায় বসিয়ে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ ধৃত তিন জনকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। তাতেই উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ধৃতরা অপহরণ করে খুনের (Murder) কথা কবুল করেছে। জেরায় তারা জানায়, অপহরণ করার পর দু’জনের দেহ ডানকুনি (Dankuni) খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এবং পুলিশের নজর ঘোরাতে তারা পিকআপ ভ্যানটি জামালপুরে (Jamalpur) নবগ্রামে জাতীয় সড়কের ধারে থাকা একটি ধাবার সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে পালায়।
এমন তথ্য পাওয়ার পর ব্যবসায়ী ও পিকআপ ভ্যানের চালকের দেহ উদ্ধারের জন্য ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডানকুনি খালে তল্লাশি শুরু করে। জেসিবি মেশিনের ব্যবহারের পাশাপাশি ডুবুরি নামানো হয়। তবে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত দেহ দু’টির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। খুনের (Murder) ঘটনা আড়াল করতে ধৃতরা বিভ্রান্ত করছে কি না, সেই বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
ব্যবসায়ী শামিমের আত্মীয় জামির খান এদিন বলেন, ‘ব্যবসার বেশ কিছু টাকা শামিমের কাছে ছিল। ওই টাকা হাতানোর জন্যই দু’জনকে অপহরণ করে খুন (Murder) করা হয়েছে।’ এসডিপিও আমিনুল ইসলাম (বর্ধমান সদর দক্ষিণ) এদিন বলেন, ‘পিকআপ ভ্যানটি পাঁচ অগস্ট নবগ্রামে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পাওয়া যায়। ওই গড়িতে থাকা ব্যবসায়ী শামিম শেখ ও গাড়ির চালক বরুণ মুর্মুকে অপহরণের ঘটনা নিয়ে তাঁদের পরিবার ৮ অগস্ট জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পিকআপ ভ্যানের সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে অপহরণের ঘটনায় ডানকুনির তিন জনকে ধরা হয়েছে। জেরায় তারা টাকা হাতানোর জন্য দু’জনকে খুন করে দেহ ডানকুনির (Dankuni) সেচখালে ফেলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। ধৃতদের আরও জেরা করা হবে।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।